- আপডেটঃ August, 7, 2021, 6:59 pm
- 411 ভিউ
সোহাগ মিয়াজী ।।
সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম ধাপে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ (৭ আগষ্ট) থেকে।সরকার ঘোষণা করার পর থেকে গত ৩-৪ দিন চাহিদার ও তিন গুন মানুষ সুরক্ষা এ্যাপসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করেছে ।
কিন্তু চাহিদা সীমিত থাকায় সবাইকে টিকা দিতে পারছেন না স্বাস্থ্য বিভাগ। ৫০ উদ্ধে বয়সের লোকদের প্রথমিক ভাবে দেওয়া হয়েছে আজ।
আগামী সাপ্তাহ থেকে পুরোপুরি ভাবে সবাই পবে এমটাই প্রত্যাশা সকলের।
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ঘুরে দেখা গেছে টিকা পাবে ৬০০ জন লাইন হচ্ছে ২ হাজার মানুষের।পৌরসভায় টিকা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু।
শ্রীপুর ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবিএমএ বাহার ও শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদার। তেমনি ভাবে গুনবতী ইউনিয়নে ৬০০ জনের মধ্যে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভূঁইয়া খোকন।
জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান জানে ই আলম ভূঁইয়া। কাশিনগর ইউনিয়নের টিকা কার্যক্রম কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন।
কনকাপৈত ইউনিয়নের টিকা কার্যক্রম কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মোঃ জাফর ইকবাল। চিওড়া ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম, ঘোলপাশা ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ।
এমনি ভাবে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের টিকা কার্যক্রম কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,টিকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আবার টিকা পেয়ে অনেকেই খুশি। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত টিকা প্রদানের সময়সীমা নির্ধারণ করলেও বেলা ১২ টার আগেই সকল টিকা প্রদান করা শেষ হয়ে যায়।
কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা এবং কাশিনগর বি এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুরুষদের টিকা প্রদানের বুথে লম্বা লাইন। সকাল ৯ টায় টিকাগ্রহীতার তেমন চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ বাড়ে বলে জানা গেছে।
টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী সহ তুলনামূলক অধিক বয়সী ব্যাক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে দেখা গেছে।
টিকা না নিতে পারা ষাটোর্ধ বয়সী ময়ূরী বেগম নামে একজন জানান, “টিকা নিতে আসছি কিন্তু টিকা নিতে পারি নি।টিকা নাকি শেষ হয়ে গেছে”।
আরেক ব্যাক্তি জানান, “১৫০ টাকা গাড়ী ভাড়া দিয়ে টিকা নিতে এসেছি।এখন নাকি টিকা শেষ।কবে টিকা দিবে তার কোনো নিশ্চয়তা নাই”।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: হাসিবুর রহমান জানান, “চৌদ্দগ্রামে ১৩ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভা নিয়ে ১৪ টি কেন্দ্রে ৬০০ টি করে সর্বমোট ৮৪০০ জনকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। আমাদের টিকার ক্রাইসিস আছে।
আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ থাকলে আরো বেশী মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারতাম। তবে খুব শিগ্রই সকলকে টিকা দেয়া হবে। চৌদ্দগ্রামে টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৯৮ হাজার ৫২ জন
আরো পড়ুন....